ফাইল ছবি

সকালে উত্থান, বিকেলে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পতন হলেও জানুয়ারি মাসের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার।   

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটাসহ বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে সামান্য বেড়েছে। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। ফলে চলতি সপ্তাহের প্রথম তিনদিন (রোববার থেকে মঙ্গলবার) সূচকের পতনের পর শেষ দুদিন অর্থাৎ বুধ ও বৃহস্পতিবার ইতিবাচক ধারায় লেনদেন হলো।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণের সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি বিদেশি একটি ব্যাংক পুঁজিবাজারে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে— এমন খবরে লেনদেনে সক্রিয় হন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত সূচকের বড় উত্থানও হয়। কিন্তু এরপর শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ। শুরু হয় দরপতন। যা অব্যাহত ছিল লেনদেনের শেষ সময় পর্যন্ত।

দিনশেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৯ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ১১৩ পয়েন্ট।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, মাসের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার এখানে মোট ৩৪৯ সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের (বুধবার) চেয়ে ৯ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯৪১ কোটি আট লাখ নয় হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯০৫ কোটি ৯০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৬৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬০টির।

লেনদেন হয়েছে মোট ৪৩ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার টাকার। আগের দিন (বুধবার) লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকো ফার্মা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, ইউনাইটেড পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক, সামিট পাওয়ার, আইএফআইসি ব্যাংক এবং রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ, আমান ফিড, বেক্সিমকো, সাইফপাওয়ার, বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিকস, ম্যাক্সসন স্পিনিং, প্রাইম লাইফ, মেট্রোস্পিনিং, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

এমআই/এমএআর