পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বন্ড এক্সপোজার লিমিটের (অর্থাৎ পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা) বাইরে রাখা হবে। একই সঙ্গে বাজার দরের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসের (ক্রয়মূল্য) ভিত্তিতে এক্সপোজার লিমিট গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের  (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের অভাবে শূন্যতা ও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়। যা আজকের সভার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। ভবিষ্যতে এ জাতীয় সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয়, সে লক্ষ্যে আগামীতে নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগাযোগ হবে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তারাও বিএসইসিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা পোস্টকে এসব কথা জানান শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এদিন দুপুর ৩টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। 

বৈঠকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে যোগ দেন কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম।

শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা, বন্ডে বিনিয়োগ ক্রয়মূল্য বিবেচনা করা, স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গতিশীল করাসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বৈঠকে বন্ডে বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসকে বিবেচনায় নেওয়ার দীর্ঘদিনের যে চাহিদা সেটাও তারা সমাধান করবেন। এজন্য যা করণীয় তারা তাই করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

শামসুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির জন্য কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড (সিজিসি) পরিপালন ও নগদ লভ্যাংশে উৎসাহিত করবে বলে জানিয়েছেন।

এমআই/এমএআর