২০২০-২১ অর্থবছরে ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি হয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার। এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরো বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ওষুধ, কৃষিপণ্য, পোল্ট্রি, পাট ও চামড়াজাত পণ্য এবং জুতার বিশাল বাজার রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সোমবার (৩ জানুয়া‌রি) ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। চীন, ভারত, জাপানের মতো ইন্দোনেশিয়াও যাতে বাংলাদেশের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করে সেজন্য রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বানও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জানান, ইন্দোনেশিয়ার খাতভিত্তিক সংলাপে অংশীদার হতে আগ্রহী বাংলাদেশ। দেশটিতে শুল্ক ও করকাঠামো তুলনামূলক সহজ হওয়ায় বাংলাদেশি রফতানিকারকদের পক্ষে বাজার ধরা সহজ হবে। ইন্দোনেশিয়ান উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ওষুধ ও এসএমই খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে বিনিয়োগে আগ্রহী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করতে চলতি বছরই দেশটির শিল্পমন্ত্রী অথবা বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। এছাড়া দেশটির সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। 

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, পরিচালক এম. জি. আর. নাসির মজুমদার ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
 
এসআই/জেডএস