ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের ২০ জন গ্রাহকের টাকা ফেরত পাওয়ার মধ্য দিয়ে এই খাতে গ্রাহকদের আস্থার সংকট কেটে যাবে বলে মনে করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার। তিনি মনে করেন, অন্তত আস্থার সংকট কাটাতে সহায়তা করবে এ উদ্যোগ। 

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কিউকমের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শমী কায়সার। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে এই মুর্হূতটা আমাদের কাছে স্মরণীয়, আমাদের একটা গোল্ডেন মোমেন্ট। যখন আমরা একটা সমস্যার সমাধান করি তখন একটি অনেস্ট উইং দরকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সেটা করছে। আমরা মনে করি ভূঁইফোড় কিংবা ডিজঅনেস্টিতে ব্যবসা করে খুব অল্প সংখ্যক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা এই করোনাকালের মধ্যেও কাজ করছেন, করেছেন। তারা সততা নিয়ে ডিজিটাল ব্যবসায় এসেছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা রয়েছেন। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেখানে মানি লন্ডারিং হয়েছে সেখানেও তারা ছাড় পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এই কাজটি গত কয়েকমাস ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করেছে, ভোক্তারা যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায়। শুভ উদ্যোগ এটা। গ্রাহকরা যেন তাদের অর্থ ফেরত পায় সেজন্য যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেটি একটি মহৎ উদ্যোগ। এর অংশ হিসাবে আজকে আজ যে যাত্রা শুরু হয়েছে, এটি একটি শুভ যাত্রা। এটি আবারও ই-কমার্স খাতে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছিল, সেই আস্থা নতুন করে ফিরে পেতে সহায়তা করবে। 

এদিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের ২০ জন গ্রাহকের ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ছয় হাজার ৭২১ জন গ্রাহকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ৫৯ কোটি টাকা ফেরতের সম্মতি পাওয়াদের মধ্যে ২০ গ্রাহক আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অর্থ ফেরত পেলেন।

পিএসডি/জেডএস