বেসরকারি ব্যাংকের এন্ট্রি লেভেলে বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো মার্চে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা কার্যকরে আরও সময় চায় ব্যাংকের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আশা করেন, তাদের এ দাবি মেনে সময় বাড়ানো হবে।

বৈঠকে অংশ নেন ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) নেতারাও।

নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে মার্চ মাস থেকেই বিজ্ঞপ্তির সিদ্ধান্ত মানা ব্যাংকের জন্য কঠিন। এতে ব্যাংকারদের আর্থসামাজিক অবস্থা, ব্যাংকের ভারসাম্য সব বিষয় বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেও আমরা এ আবেদন জানিয়েছি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য চমৎকার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনই এ সিদ্ধান্ত মানা হলে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।

বৈঠকের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নির্দেশনা কার্যকরে বাড়তি সময়ের চেয়েছেন ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকরা। তাদের দাবি ভেবে দেখা হবে। তবে সার্কুলারের বিষয়ে যেসব অস্পষ্টতা ছিল উভয় পক্ষের আলোচনায় তা পরিষ্কার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকের শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের ২৮ হাজার টাকা ও শেষে ৩৯ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণ করে দেয়। পাশাপাশি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ২৪ হাজার নির্ধারণ করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শুধু আমানত সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জন করতে না পারায় কাউকে পদোন্নতি বঞ্চিত বা চাকরিচ্যুত করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

পরে ওই নির্দেশনা স্পষ্টীকরণ করে ২৫ জানুয়ারি জারি করা আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এছাড়া অদক্ষতার অজুহাত দেখিয়ে কর্মীদের পদোন্নতি হতে বঞ্চিত অথবা পদত্যাগে বাধ্য না করার কথাও বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা জারির পর থেকেই ব্যাংকের নির্বাহী ও উদ্যোক্তারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এসআই/এসকেডি