কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের লোগো

অনলাইন ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে টানা চর্তুথবারের মতো প্রথম স্থান অর্জন করেছে কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন ১২টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে গত আগস্ট থেকে চলতি নভেম্বর মাস পর্যন্ত টানা চারবার প্রথম স্থান অর্জন করল সংস্থাটি।

নভেম্বর মাসে এই কমিশনারেটে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৯৩.৩৩ শতাংশ। যেখানে এনবিআরের অর্জন মাত্র ৩৫ শতাংশ। সেখানে কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটের অর্জন প্রায় শতভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কুমিল্লা ভ্যাট অফিসের আওতায় রিটার্ন দাখিলযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ২৩৪টি। সেখানে এখন পর্যন্ত ভ্যাট রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৮ হাজার ৬৫৮টির। যার মধ্যে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দিয়েছে ৮ হাজার ৬১৮টি প্রতিষ্ঠান। ৪০টি প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কাস্টমসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘অটোমেশন সরকারের অগ্রাধিকার। এনবিআর সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বরাবরই অগ্রণী। কুমিল্লার কর্মপ্রবণ টিম প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। করোনাকালে কুমিল্লা টিম কখনও পশ্চাদমুখী বা কর্মবিচ্যুত থাকেনি। দলবদ্ধ প্রচেষ্টা ও প্রতিযোগিতা এ অভূতপূর্ব সাফল্যের মূল নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সক্ষম কর্মকর্তাদের বাছাই করে জটিলতর কাজে নিয়োগ, মনিটরিংয়ে উদ্বুদ্ধকরণ এ ক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। সারা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের এরকম কাজের ধারা অব্যাহত থাকা উচিৎ। দক্ষ, সক্ষম, উপযুক্ত ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে সকল কর্মকর্তাদের আমরা পুরস্কৃত করি। ভবিষ্যতেও তাদের পুরস্কৃত করা হবে।’

অন্যদিকে কুমিল্লা কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘ভ্যাট দিবস ও সপ্তাহ পালন করতে গিয়ে কুমিল্লার প্রথম হওয়া নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ সংশয় ছিল। তবে কুমিল্লা টিম এ চ্যালেঞ্জকে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে।’

আরএম/এফআর