কিছুদিন ধরে নিম্নমুখী ভারতের শেয়ার বাজার। এর মধ্যেই কিছু শেয়ারের ভালো অবস্থান দেখা গেছে। এসব শেয়ার থেকে বিনিয়োগকারীরা ভালো অর্থ পকেটে পুরেছেন। ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা আদানি গ্রুপের একটি শেয়ার এমনই দারুণ রিটার্ন দিয়েছে। তিন বছরে ৭০০০ শতাংশ বেড়েছে আদানি গ্রিনের শেয়ারের দাম।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধের সময় আদানি গ্রিনের দাম ছিল ২১২৮.৯০ টাকা। ঠিক তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেয়ারটির দাম ছিল মাত্র ৩০.১০ টাকা। অর্থাৎ ৩ বছরে ২১০০ টাকার কাছাকাছি বেড়েছে এ শেয়ারের দাম। রিটার্ন ৬৯৬৮ শতাংশ। দিন কয়েক আগে আদানি গ্রিনের মার্কেট ক্যাপিটাল ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আইটিসি, টাইটানের মতো বড় সংস্থার সমতুল্য হয়ে উঠেছে আদানি গ্রুপের এ প্রতিষ্ঠানটি।

যিনি আদানি গ্রিনে ৩ বছর আগে বিনিয়োগ করেছেন, এখন ঠিক কত টাকার মালিক তিনি? ধরা যাক ৩ বছরে আগে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কোনো বিনিয়োগকারী। তার পোর্টফোলিও-র মূল্য এখন ৭০.৬৯ লাখ টাকা। স্টক বিএসই-কে ছুঁয়েছে সর্বোচ্চকালীন রেকর্ড দর। পৌঁছে গিয়েছে ২১২৮.৯০ টাকায়। যদিও সেনসেক্স ও নিফটি লাগাতার তিন দিন ধরে পতন দেখছে। তার উল্টো পথে আদানি গ্রিন। গত ৪ দিনে ১১ শতাংশ বেড়েছে শেয়ারের মূল্য।

শেয়ার বাজারে প্রবেশ করে সুখকর অভিজ্ঞতা হয়নি আদানি গ্রিনের। প্রায় ৪ বছর আগে ৩০ টাকারও কমে শুরু হয়েছিল যাত্রা। ২০১৮ সালের ২২ জুন শেয়ারের দাম ছিল মাত্র ২৯.৪৫ টাকা। ১০০ টাকায় পৌঁছতে লেগে গিয়েছিল দেড় বছর। করোনাকালে গতি বাড়ে এ শেয়ারের। দেখতে দেখতে ৫০০ টাকা, ১০০০ টাকা ও ১৫০০ টাকা পেরিয়ে যায় আদানি গ্রিন। এভাবে ৭০০০ শতাংশ বেড়েছে শেয়ারের দর।

কোম্পানির আয়তন বজাজ ফিনসার্ভ, অ্যাভিনিউ সুপারমার্ট, লার্সন অ্যান্ড টুর্বো, আইটিসি, মারুতি সুজুকি ও টাইটানের মতো। সম্প্রতি একটি সংস্থা ভালো রেটিং দিয়েছে আদানি গ্রিনকে। আগামী দুই বছরে এ শেয়ার ২৮১০ টাকায় পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ভারতের সবচেয়ে বড় পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির সংস্থা আদানি গ্রিন। এখন তাদের ১৩৯৯০ মেগাওয়াটের ক্ষমতা রয়েছে। ডিসেম্বরে বিক্রি ৯৭ শতাংশ বেড়ে ২.৫০ কোটি ইউনিটে পৌঁছে গিয়েছিল। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে কোম্পানির ক্ষমতা ৮৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৪১০ মেগাওয়াট।

এসএসএইচ