মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম/ ফাইল ছবি

‘ব্যাংক আমানত বিমা আইন’ পরিবর্তন করে ‘ব্যাংক আমানত সুরক্ষা আইন’ করছে সরকার। এ আইনের অধীনে আসছে ব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আইনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান করা হচ্ছে।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে আইন ছিল, ব্যাংক খোলার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে সেইফটি হিসেবে ডিপোজিট থাকে। কিন্তু লিজিং কোম্পানিগুলোর ছিল না। ‘যুবক’ টাইপের যেসব কোম্পানি আছে, যারা টাকা লেনদেন করত, তাদের কোনো সেফটি-সিকিউরিটি ছিল না। এই আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, যে নামেই আর্থিক লেনদেন করুক না কেন অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে নিবন্ধিত হতে হবে। টোটাল পেইডআপ ক্যাপিটালের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিপোজিট থাকবে। লিজিং কোম্পানি উঠে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ওই ডিপোজিট থেকে পাবে। 

ব্যাংক ছাড়া অন্য জায়গায় টাকা রাখতে সাবধান থাকার আহ্বান জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।  

এসএইচআর/এইচকে