রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে অর্থায়ন করা ঋণের উপর অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য অতিরিক্ত এক শতাংশ সুদ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন একচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত সার্কুলার জা‌রি ক‌রেছে।

সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমদানি বিল পরিশোধ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডিএফ থেকে পুনঃঅর্থায়ন তারিখ পর্যন্ত এই সময়ের জন্য রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত এক শতাংশ সুদ আদায় করা যাবে।

বর্তমানে ইডিএফ এর আওতায় উৎপাদনের কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে দুই শতাংশ হারে রপ্তানিকারকের কাছ থেকে সুদ আদায় করে থাকে। আদায় করা এই সুদের এক শতাংশ পুনঃঅর্থায়নের সুদ বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে যে, চলমান ঊর্ধ্বমুখী রপ্তানির গতির কারণে উৎপাদন উপকরণাদি আমদানির জন্য ইডিএফ থেকে অর্থায়ন চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ইডিএফ এর ওপর চাপ পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানি বিল পরিশোধ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডিএফ থেকে পুনঃঅর্থায়ন তারিখ পর্যন্ত এই সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬ থেকে ৭ শতাংশ সুদ আদায় করে থাকে। এই সার্কুলার জারির ফলে ব্যাংকগুলো এখন আর ওই সুযোগ পাবে না।  

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র এক ব্যাংকার নাম না প্রকাশ শর্তে জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন পেতে সময় লাগছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোকে আমদানি বিল তাৎক্ষণিকভাবে নিজস্ব উৎস থেকে পরিশোধ করতে হয়। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থের তহবিল ব্যয় বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত এক শতাংশ সুদ তাদেরকে স্বস্তি দেবে। এক শতাংশ সুদ রপ্তানিকারকের কাছে সহনীয় হবে। কারণ এতে করে একমাসের সুদ ব্যয় হবে মাত্র ০.০৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে রপ্তানি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে আমদানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। আলোচিত আট মাসে রপ্তানি থেকে দেশ আয় করেছে তিন হাজার ২০৭ কোটি ডলার। পণ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৩৮ কোটি ডলার।

এসআই/জেডএস