উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। অনেক এলাকায় পানিতে ডুবেছে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ। 

পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাংকের শাখা কার্যক্রমও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এতে করে ব্যাংকিং কার্যক্রম ও বুথের সেবাদানে বিঘ্ন ঘটছে। শনিবার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সিইএ মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, বন্যায় ব্যাংকিং সেবা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সুনামগঞ্জের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের একজন মহাব্যবস্থাপক বিষয়টি দেখভাল করছেন। তিনি আমাদের হালনাগাদ প্রতিবেদন দিচ্ছেন। আমরা ব্যাংকিং সেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।   

সিলেটে আকস্মিক বন্যায় এটিএম বুথ পানিতে ডুবে গেছে এবং শাখার বাইরেও পানি উঠেছে জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বেসরকারি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিন। শুক্রবার তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমাদের ৫০টি এটিএম বুথ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। 

ছবিতে দেখা যায় সুনামগঞ্জ ছাতক এলাকায় একটি ভবনের নিচতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ভবনটিতে ডাচ বাংলা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখা রয়েছে।

বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, আমাদের বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অনেক পানি। বিশ্বনাথ উপজেলায় আমাদের একটি শাখায় কোমর সমান পানি ঢুকে গেছে। গ্রাহকরা ব্যাংকে আসতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলে ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিশ্বনাথের শাখা বন্ধ রাখতে পারি। আর আমরা এটিএমগুলো আগেই সরিয়ে রেখেছি। ফল বন্যাকবলিত কোনো কোনো স্থানে এটিএম সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

এসআই/আরএইচ