পদত্যাগ করেছেন বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এ (রুমী) আলী। ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

বুধবার (৬ জুলাই) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই তিনি পদত্যাগের কথা জানান।

ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংকটির মালিকদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী পদত্যাগ করেছেন। তিন বছর আগে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ব্যাংকটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ব্যাংকটির মালিকানার বড় অংশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিএনপি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

কর্মীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী বলেছেন, আমাদের নতুন পরিচালনা পর্ষদ তিন বছর আগে নতুন উদ্যমে ব্যাংক পরিচালনা কার্যক্রম শুরু করে। নতুন পরিচালনা পর্ষদের পাশাপাশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা দলও ঢেলে সাজানো হয়। বিগত তিন বছরের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়া আমাদের জন্য সহজ ছিল না। তিন বছর আগে ব্যাংকের অবস্থান অনেক নড়বড়ে ছিল। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে ব্যাংকটির হারানো গৌরব ফিরে পেতে নিরলসভাবে কাজ করেছি। 

চিঠিতে মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী আরও বলেন, আমি মনে করি, একটি ব্যাংকের উন্নয়নের মূলমন্ত্র হচ্ছে সুশাসন। আর সুশাসনের মূলনীতি হচ্ছে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতা। এটি প্রতিষ্ঠা করা না গেলে সুশাসন আসবে না। আমি ব্যক্তিগত কারণে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করার আবেদন করেছি। তাই আপনাদের ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে এটাই আমার শেষ বোর্ড মিটিং এবং এজিএম। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহাম্মদ এ. (রুমী) আলী বলেন, এবি ব্যাংককে সঠিক পথে চালাতে হলে নতুন করে মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে ঋণ বিতরণ করা যাবে। তিন বছর দায়িত্ব পালনকালে আমি কোনো পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করিনি। যারা ঋণ নিয়ে ফেরত দিচ্ছে না, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এসআই/আরএইচ