বাংলাদেশ ব্যাংক/ ফাইল ছবি

মুনাফা যত বেশিই করুক ১৫ শতাংশরে বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু তাই নয় যেসব প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১০ শতাংশের কম ও শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানও কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। এমন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ এর ১৮(ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি মূলধন সাশ্রয়ী ও তারল্য বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ও তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ইচ্ছামতো লভ্যাংশ দিতে পারবে না বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। 

এ সিদ্ধান্তের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারবে না, তার অর্থ হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাগাম টেনেছে। এ কারণে সক্ষমতা থাকার পরও কোম্পানিগুলো ভালো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত সম্পদ না রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঘাটতি সমন্বয়ে ডেফারেল সুবিধা ভোগ করছে, সে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ সম্পদ সংরক্ষণের আগে কোনো প্রকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

এতে আরও বলা হয়, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।

এছাড়া যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১০ শতাংশের কম ও শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে ও পরবর্তী নিদের্শনা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান রাখতে বলা হয়েছে।

এমআই/এসএসএইচ