চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নতুন স্কিম গঠন করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য পুনঃঅর্থানয়ন তহবিল’।

এক হাজার কোটি টাকার এই পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের উৎস হবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তহবিলের আওতায় পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। এসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. সহিদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী এবং সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার মোরশেদ মিল্লাতসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক লি., মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লি., মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি., ব্র্যাক ব্যাংক লি., সাউথইস্ট ব্যাংক লি., এক্সিম ব্যাংক লি., দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লি., এনআরবি ব্যাংক লি., বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লি., আইডিএলসি ফাইন্যান্স লি., বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লি., ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লি. এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লি. এর প্রধান নির্বাহীরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

গত ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রপ্তানিমুখী শিল্প খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য আবর্তনশীল এই তহবিলের আকার হবে মোট এক হাজার কোটি টাকা। তহবিলের সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক একটি চুক্তি করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পার্টিসিপেটিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (পিএফআই) হিসেবে গণ্য করা হবে।

গ্রাহক পর্যায়ে এই তহবিলের ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১ শতাংশ সুদ আদায় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছরের কম হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুনাফার সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংক। পাঁচ বছরের বেশি কিন্তু আট বছরের কম মেয়াদী ঋণের সুদ হার হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি কিন্তু দশ বছরের কম হলে সেই ঋণের সুদ হবে সবমিলিয়ে ৪ শতাংশ।

এই তহবিল থেকে ঋণ নিতে হলে ঋণ-মূলধনের অনুপাত হতে হবে ৭০:৩০ শতাংশ। অর্থাৎ ৩০ শতাংশ মূলধনের বিপরীতে ৭০ শতাংশ ঋণ নিতে পারবেন গ্রাহক। এছাড়া যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১০ শতাংশের বেশি তারা এই তহবিল ব্যবহার করে ঋণ নিতে পারবে না। পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পেতে আবেদনের সময় মূলধন পর্যাপ্ততা, সংস্থান সংরক্ষণ, নগদ সংরক্ষণ হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ তরল সম্পদ সংরক্ষণ হার (এসএলআর) বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত হারে সংরক্ষণ করতে হবে। ক্যামেলস রেটিং হতে হবে ন্যূনতম ৩ শতাংশ।

এসআই/জেডএস