বিদেশে চিকিৎসা, পড়ালেখা বা ভিসা ফি সংক্রান্ত ব্যয় মেটাতে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকের হয়ে বিদেশে অর্থ পাঠাতে পারবে ব্যাংক। এ ব্যাপারে অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিদ্যমান ব্যবস্থায় অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক সুইফট ম্যাসেজের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন করে থাকে। অপরদিকে এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে প্রবাসী আয় দেশে আসে। এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক নিজের নামে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স কার্ড ইস্যু করতে পারবে। এ কার্ড দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের বেশ কয়েকটি খাতে ব্যয়ের অর্থ সহজে বিদেশে পাঠাতে পারবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।

খাতগুলো হলো- তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয়, সদস্য ফি, ভর্তি ফি, শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যয়, ভিসা ফি, প্রশিক্ষণ ফি ইত্যাদি। সোমবার (৩১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, বৈদেশিক লেনদেন ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত সময়োপযোগী করা হচ্ছে। নতুন সার্কুলারের আওতায় চাহিদা অনুযায়ী অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক তাদের গ্রাহকের পক্ষে আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে বিদেশের লেনদেনগুলো নিষ্পত্তি করতে পারবে।  

অর্থাৎ বাংলাদেশি কেউ বিদেশে কোনো সেবা নিতে গেলে তাকে যে ফি প্রদান করতে হয় সেই ফি যদি সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ না নিয়ে কার্ডের মাধ্যমে নিতে চায়, কিন্তু সুবিধাগ্রহণকারীর কাছে আন্তর্জাতিক কার্ড নেই, তখন ব্যাংকগুলো গ্রাহকের পক্ষ থেকে তাদের নিজস্ব নামে কার্ড ইস্যু করে ওই অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। এতদিন এ ধরনের কোনো সুযোগ ছিল না। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এ সার্কুলারের প্রশংসা করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল পেমেন্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ সুবিধার ফলে এখন থেকে 'নস্ট্রো হিসাবের' (বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব) সহায়তা ছাড়াই এ কার্ডের মাধ্যমে সহজে দেশের বাইরে অর্থ পাঠানো যাবে।

এসআই/জেডএস/জেএস