রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের টেকনাফ শাখা থেকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক ব্যক্তির নামে ভুয়া অ্যাডভাইসপত্র দাখিল করে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল একটি চক্র। 

কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তাদের দূরদর্শিতা ও বুদ্ধিমত্তার কারণে চক্রটি টাকা হাতাতে ব্যর্থ হয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেছে সোনালী ব্যাংক।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সোনালী ব্যাংকের গণসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শামীমা নূর ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোনালী ব্যাংকের টেকনাফ শাখায় ভুয়া অ্যাডভাইসপত্র দিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে একটি প্রতারক চক্র। তারা প্রাণি সম্পদ বিভাগের একজন ভুয়া কর্মচারির নামে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি অ্যাডভাইসপত্র (সরকারি চাকরিজীবীর আনুতোষিক) কালেকশনের জন্য ব্যাংকে জমা দেয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। পর্যবেক্ষণে প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অ্যাডভাইসটির বিপরীতে সরকারি অর্থ উত্তোলন আটকে দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট শাখা ম্যানেজার জানান, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ, বেনিফিসিয়ারি মো. শাহাবুদ্দিন এবং উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের অডিটর আবুল বশর এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বেনিফিসিয়ারি শাহাবুদ্দিন প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের কোনো কর্মচারী ছিলেন না। কিন্তু তার নামে ভুয়া বিল প্রস্তুত ও স্বাক্ষর নকল করে টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে পাঠানো হয় । এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার সাথে ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

সম্প্রতি গাজীপুরের শ্রীপুরেও একই কায়দায় সোনালী ব্যাংক থেকে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অপর একটি চক্র। তবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দক্ষতায় বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হয় এবং সরকারি অর্থ রক্ষা পায়। ওই ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার মধ্যে ৫ জন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।  

এসআই/এনএফ