ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করেছে।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়িত দ্বিতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (এসএমইডিপি-২) অংশ হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মশালাটি পরিচালনা করে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এসএমই অর্থায়ন ও এসএমইডিপি-২ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশ নেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং এসএমইডিপি-২ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম সরকার।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে (সিএমএসএমই) উদীয়মান অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রাথমিক লক্ষ্য ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে অবস্থিত অর্থের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। 

অংশগ্রহণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (পিএফআই) মাধ্যমে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণ করা হয়। প্রায় ২১টি ব্যাংক এবং ১২টি এনবিএফআই (নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট) প্রকল্পে পিএফআই হিসাবে চুক্তি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক ও এসএমইডিপি-২ এর প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত মোহন চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও এসএমইডিপি-২ এর প্রকল্প কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার তিন্নি কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।

প্রশিক্ষকরা এসএমই অর্থায়নের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন এবং উদ্যোগগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।  

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন এবং হেড অব এসএমই সৈয়দ আবদুল মোমেন।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের (এসএমই) অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ১৮৭টি শাখা, ৩৭৪টি এটিএম, ৪৫৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে।

আরএম/জেডএস