# মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পি-টু-পি মাসিক লেনদেন দুই লাখ টাকা
#  ক্রেডিট কার্ডের লেট পেমেন্ট ফি ও সুদের বিশেষ সুবিধা স্থগিত
# ক্রেডিট কার্ডের বিলম্ব ফি একবারের বেশি নয়

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধের (লকডাউন) সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে।  

সার্কুলারে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রোভাইডারের ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেন সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলাসহ গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাই ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের মেয়াদ, লেট পেমেন্ট ফি ও সুদ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের ২০১০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।  

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের অব্যবহিত পরের দিন হতে ক্রেডিট কার্ডের অপরিশোধিত বিলের ওপর সুদ বা মুনাফা আরোপযোগ্য হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই লেনদেনের তারিখ হতে সুদ আরোপ করা যাবে না। বিলম্বে পরিশোধিত কোনো বিলের বিপরীতে বিলম্ব ফি একবারের বেশি আদায় করা যাবে না।

সার্কুলারে এমএফএস প্রোভাইডারের ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনের নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনের সর্বোচ্চ মাসিক সীমা দুই লাখ টাকা বহাল থাকবে। এ  লেনদেনের চার্জ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবসায়িক নীতি অনুসারে চলবে। আগে পি-টু-পি মাসিক লেনদেন সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা ছিল।

বিধিনিষেধ চলাকালে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করলেও লেট পেমেন্ট ফি আরোপে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পাশাপাশি বকেয়া বিল নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হওয়ার পর পাঁচ কর্মদিবস পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ পেতেন গ্রাহক। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিল পরিশোধের মেয়াদ, লেট পেমেন্ট ফি ও সুদ সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধার নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হলো।

এসআই/আরএইচ