জাতীয় বিমা দিবস মঙ্গলবার (১ মার্চ)। 'বিমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে' প্রতিপাদ্যে সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। 

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় বিমা দিবস-২০২২ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। উপস্থিত থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন। 

আইডিআরএ বলছে, বিমা দিবসে ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবসের আলোচনা সভা। সভায় বিশিষ্ট বিমা ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা উদ্বোধন এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন আয়োজন রয়েছে।

এদিকে কোভিড-১৯ মহামারি বিবেচনায় রেখে ঢাকার মধ্যে দুটি সিটি করপোরেশন এলাকায় সজ্জিত ট্রাকের মাধ্যমে প্রচার ও প্রচারণা হয়েছে। জেলা-উপজেলার শহরগুলোতে বিমা বিষয়ক পোস্টার, জাতীয় বিমা দিবসের থিম সং বাজানো হবে। তার আগে বিমা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন প্রভৃতির মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

দিবসটি উত্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে-বিমার প্রতি মানুষের আস্থা অর্জন করা। দেশের বিমা খাতে ৮০টি কোম্পানি কাজ করছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ বিমা কোম্পানির প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন, কেবল সঠিক সময়ে বিমা দাবি না পাওয়ার কারণে। আইডিআরএ তথ্য মতে, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিগুলোর কাছে ৩ লাখ গ্রাহকের বিমা দাবি বাবদ পাওনা রয়েছে সোয়া ১৫ হাজার কোটি টাকা। গ্রাহকরা বছরের পর এই পাওনা টাকা আদায়ে কোম্পানিগুলোর পেছনে ঘুরছেন।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। তাই জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত ১ মার্চকে ‘জাতীয় বিমা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি একটি আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এমআই/জেডএস