বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ অসত্য ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পর্ষদ কমিটির সভায় প্রতিষ্ঠানটির জয়েন্ট এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট পল্লব ভৌমিকের অভিযোগ অসত্য ও বানোয়াট বলে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ডেল্টা লাইফের প্রশাসক সুলতানুল আবেদীন মোল্লা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি পর্ষদ সভায় বিবিধ এজেন্ডার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার উৎকোচ (ঘুষ) দাবির অসত্য ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার জন্য আপনাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দাখিলের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছিল। ভীত ও বিভ্রান্ত হয়ে আপনি তা দাখিল করেছিলেন। আপনার দাখিলকৃত অভিযোগ প্রত্যাহার করবার জন্য এ সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির সুপারিশে ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল।

এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি গুলশানের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেল্টা লাইফের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল বলে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আইডিআরএ চেয়ারম্যান তিন দফায় দুই কোটি টাকা, এক কোটি এবং ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ চেয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডেল্টা লাইফের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী কামরুল আহসান বলেন, ঘুষের তথ্য তুলে ধরায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে ২০০ ধারায় ডেল্টা লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারি মামলা করেছে আইডিআরএ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় সমাধানের জন্য আইডিআরএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি কোম্পানির কাছে প্রথমে দুই কোটি, পরবর্তী সময়ে এক কোটি ও সর্বশেষ ৫০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এ সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ ও ট্রান্সক্রিপটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আকারে দাখিল করা হয়েছে। যা বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগ অধিকতর তদন্ত করার আদেশ দিয়েছেন। আইডিআরএ-এর চেয়ারম্যানের বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের কারণে ডেল্টা লাইফ কোম্পানির বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এ হয়রানি বন্ধ করে আইডিআরএ-এর দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। 

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদিবা রহমান বলেন, আইডিআরএ চেয়ারম্যান আমাদের কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন। আমরা সে ঘুষ না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। প্রথমে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের বাসায় ঘুষ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে মোবাইল ফোনে আমাদের এক কর্মকর্তার কাছে ঘুষ চেয়েছেন তিনি। আমাদের কাছে এর রেকর্ড রয়েছে। এগুলো আমরা দুদকে দিয়েছি। অডিট রিপোর্টে কিছু অভিযোগ তুলেছেন। তবে রিপোর্টেই বলা আছে, এগুলো প্রমাণিত নয়। এক্ষেত্রে প্রমাণিত না হলে অভিযোগ আমলে নেওয়া যায় না।

এমআই/আরএইচ