বিমা খাতের মূল সমস্যা গ্রাহকের আস্থার সংকট। তাই এ সংকট কাটিয়ে ওঠাই এ খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে উদ্যোক্তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিমা খাত বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিমা খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ খাতে আস্থাহীনতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থান থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মানুষের মধ্যে বিমা বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা পাল্টাতে এই খাতের সংশ্লিষ্ট সবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বিমা খাতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও আমরা সেসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারিনি। বিমা খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার বিকল্প নেই। দীর্ঘমেয়াদে ভালো করতে তরুণ শিক্ষার্থীদের এ খাতে সম্পৃক্ত করে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, সময়ের পরিবর্তন হলেও বিমা খাত সনাতন প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়ে গেছে। এই খাতের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সঙ্গে সমন্বয় করে বিমা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রস্তাবসমূহ লিখিতভাবে উপস্থাপন করলে এফবিসিসিআই সেগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানান এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।

বিমা খাতের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ এ.কে.এম. মনিরুল হক। 

বিমা খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় এ খাতের সব অংশীজনদের সহযোগিতা চান সাবেক সাংসদ ও কমিটির চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলী।

ইনস্যুরেন্স খাতের উন্নয়নে অ্যাকচ্যুয়ারি থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব ও জীবন বিমা কর্পোরেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।

এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম, ইসহাক আলি খান পান্না, জালালুল আজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসআই/এসকেডি