পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর অর্থাৎ ২৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ব্যবসা ভালো হওয়ায় ২০২২ সালে  জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে সাড়ে ৬১ কোটি টাকা। যা ১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার সর্বোচ্চ মুনাফা।

সেই মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মাত্র ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৫০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীদের।

কোম্পানিটির গত সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা ৮৬ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেওয়া হবে। বাকি তিন টাকা ৩৬ পয়সা করে কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে জমা রাখবে।

অর্থাৎ মুনাফার ৬১ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৯ টাকার মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়া হবে ২৬ কোটি ২৯ লাখ দুই হাজার ৭৭ টাকা। বাকি টাকা নিয়ম অনুসারে কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সচিব মো. মামুনুর রশিদ।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেরিন-কার্গোসহ বিমায় এবার আমাদের ভালো ব্যবসা হয়েছে। ফলে এ বছর সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে। ডলার সংকট না হলে ও মোটরযানের বিমা বাধ্যতামূলক করা হলে আরও বেশি মুনাফা হতো বলে জানিয়েছেন তিনি।

৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার ৮৭টি। এই শেয়াহোল্ডারদের সর্বশেষ ২০২১ সালেও ২৫ শতাংশ নগদ অর্থাৎ দুই টাকা ২৫০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। করোনার বছরটিতে শেয়ার প্রতি আয় ছিল পাঁচ টাকা ৫৯ পয়সা।

এমআই/কেএ