ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বিএসইসি। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পর্ষদ পুনর্গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করেছে কোম্পানির পর্ষদ। ফলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় যতদিন পর্যন্ত পর্ষদ সংক্রান্ত আইনি জটিলতা সমাধান না হচ্ছে। ততদিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের অফিস বন্ধ রাখার জন্য গভর্নরের কাছে চিঠি দিয়েছি। তবে বিএসইসির চিঠি হাতে পায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের কোম্পানি সচিব নাজমুন নাহার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অফিস বন্ধের এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ আসেনি।

উল্লেখ্য, এর আগের গত ২৯ মার্চ সোনালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল মকবুলকে কোম্পানির চেয়ারম্যান করে ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় কমিশন। পুনর্গঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভরসাকে বাদ দেওয়া হয়। কোম্পানি ২০১৭ সাল থেকে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারায় তাদের বাদ দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিএসইসি।

তারপর কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ১৩ এপ্রিল উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (নম্বর- ৪২৮৮/২০২১) দায়ের করে সামসুল ইসলাম ভরসার নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ। রিটের শুনানি শেষে স্থিতাবস্থা আদেশসহ রুল দিয়েছেন।

মন্দ ঋণ ও লোকসানের ভারে নিমজ্জিত ফারইস্ট ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার। বাকি ৫৮ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে।

এমআই/ওএফ