আগামী বাজেটে (২০২১-২২ অর্থবছর) স্বাস্থ্য বিমার ওপর থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার, করপোরেট কর হার কমানো এবং বিমা এজেন্টদের পাঁচ শতাংশ অগ্রিম করের বিধান দুই বছরের জন্য স্থগিত করাসহ সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)।

বাকি দাবি দুটি হলো-জীবন বিমা পলিসি হোল্ডারদের মুনাফার ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার এবং পুনঃবীমা কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ উৎসে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন। এসময় বিআইএর প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ পাভেল, ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুল হক, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বিএম ইউসুফ আলীসহ বিআইএর নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির বলেন, দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধকারী কোম্পানিকে পুরস্কৃত করা হবে। যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে বিমা গ্রাহকদের অভিযোগ নেই, দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ করে তাদের প্রতি বছর জাতীয় বিমা দিবস বা অন্য কোনো দিনে মূল্যায়ন করা হবে।

নতুন একটি বিমা কোম্পানি তিন দিনে দাবি পরিশোধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি অনেকদিন ধরে এমন একটি উদ্যোগের কথা ভাবছি। এভাবে যারা ভালো করবে, দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধ করবে, তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

প্রাক বাজেট আলোচনায় বলা হয়, লাইফ এবং নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে বেকারত্ব নিরসন, বিনিয়োগ, পুঁজিবাজারে অংশ নেওয়া, সঞ্চয় পুঞ্জিভূতকরণ, সরকারি কোষাগারে কর দেওয়া এবং জনগণের সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা  দেওয়ায় বিশেষ ভুমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, এই শিল্পের ভবিষৎ অনেক উজ্জল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে আমাদের এ খাতের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

এমআই/আরএইচ