ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা: সংগৃহীত ছবি

দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা বেড়েছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের।

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত এই প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ২৪২ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৮৯০ টাকা। ২০১৯ সালের একই সময়ে মুনাফা হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১৬৫ টাকা। অর্থাৎ ৮৫ কোটি ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৫ টাকা বেশি মুনাফা হয়েছে কোম্পানির।

মুনাফা বাড়ায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকায়। আগের বছর যা ছিল ৫ টাকা ১৭ পয়সা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় সমাপ্ত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ডিএসই।

ডিএসইর তথ্য অনুসারে, ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২০) কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৬৪৬ কোটি ৩৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯১ টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ কোটি টাকা বেশি।

আগের বছরের দুই প্রান্তিক অর্থাৎ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৯) কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ৬১৬ কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ৪৬৭ টাকা। সে হিসেবে চলতি হিসাব বছরে কর পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ৩০ কোটি ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২১৫ টাকা।

মুনাফা বাড়ায় দুই প্রান্তিক অর্থাৎ ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ২০ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএসই বেড়েছে ১ টাকা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০, পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়ন করা শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮৭ টাকা ৯৪ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভিপিএস ছিল ২৬১ টাকা ৯২ পয়সা।

পাশাপাশি গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২০) কোম্পানির নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪৭ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে এনওসিএফপিএস ছিল ঋণাত্মক ৪ টাকা ৭৫ পয়সা।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটনের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৯৯ শতাংশ শেয়ার, দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার। ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

এমআই/জেডএস