লেনদেন শুরুর ঠিক একদিন আগেই দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন জেএমআই হসপিটাল রিকুইজট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসতে যাওয়া কোম্পানিটির লেনদেন শুরু বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ)।

অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, গত অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দেখিয়েছে ৬৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬১ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরে একই সময়ের তুলনায় ৪ পয়সা ইপিএস বেশি দেখিয়েছে। আর তাতে আইপিও পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৮ পয়সা।

শুধু দ্বিতীয় প্রান্তিকেই নয়, ওষুধ খাতের কোম্পানিটি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) ইপিএস বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ২১ পয়সা। আইপিও’র পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯৩ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩২ টাকা ৭৮ পয়সা। আইপিও পরবর্তী শেয়ার হিসাবে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৫৪ পয়সা।

উল্লেখ্য, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টায় ডিএসইতে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হবে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজটের। ডিএসইতে কোম্পানির ট্রেডিং কোড হবে-JHRML। আর কোম্পানি কোড হবে-৯৯৬৪৪।

গত ১৬ নভেম্বর আইপিওর মাধ্যমে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৯৯তম নিয়মিত কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়।

এরপর কোম্পানিটির শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আইপিওতে আবেদন নেওয়া শুরু হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি, যা শেষ হয় গত ৩ মার্চ। আবেদন শেষে লটারিতে বরাদ্দকরা শেয়ার প্রো-রাটার ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও সব প্রক্রিয়া শেষ করায় কোম্পানির লেনদেন শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় স্টক এক্সচেঞ্জ।

শেয়ার ছেড়ে বিনিয়োগকারীদের থেকে উত্তোলিত অর্থদিয়ে জমি-মেশিনারিজ কেনার পাশাপাশি ভবন তৈরি ও ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করবে জেএমআই হসপিটাল।

এমআই/এসএম