সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি নগদ ২ টাকা ৪৫ পয়সা এবং সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ লভ্যাংশ বেশি।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানির তথ্য মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিলো ৩ টাকা ২৩ পয়সা। অর্থাৎ করোনার সময়েও ভালো মুনাফা হয়েছে। তাই ৩ টাকা ৯৩ পয়সা ইপিএস বেড়েছে।

আর তাতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সাড়ে ২৪ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ার প্রতি দুই টাকা ৪৫ পয়সা এবং সাড়ে সাত শতাংশ লভ্যাংশ পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আগের বছর ২০১৯ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল গ্রিন ডেল্টা।

বিদায়ী বছরের কোম্পানির মুনাফা বাড়ায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৬৮ টাকা ৯৫ পয়সা। যা আগে বছর একই সময়ে ছিল ৬৮ টাকা ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ সম্পদ মূল্য বেড়েছে।

‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত হয়। ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ মার্চ। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মার্চ।

তিন কারণে করোনার মধ্যেও ভালো মুনাফা হয়েছে গ্রিন ডেল্টার। তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে- করোনায় ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে। বীমা দাবিও কমেছে। এছাড়াও এজেন্ট কমিশন কমেছে।

কোম্পানির তথ্য মতে, বিদায়ী বছরে কোম্পানির এজেন্ট কমিশন কমেছে ৩৪ শতাংশ, বীমা দাবি কমেছে ৩১ শতাংশ ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৮ শতাংশ।

এমআই/এসএসএইচ