পুঁজিবাজারে বড় উত্থানের একদিন পর আবারও দরপতন হলো। এদিন সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে দরপতন হয়।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৩০৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন।

এ অবস্থাকে মূল্য সংশোধন বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছিল। এখন প্রফিট টেকিং হচ্ছে। তাই সূচক কিছুটা কমেছে। তবে এদিন বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, বার্জার পেইন্ট ও রেনেটার শেয়ারের দাম বাড়ায় বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।

ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার বাজারে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২ পয়েন্ট বেড়েছে এবং ডিএসইএস সূচক ৭ পয়েন্ট কমেছে।

এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯৯৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮২ কোটি ২৭ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি আজিয়াটা, বেক্সিমকো ফার্মা, লঙ্কা-বাংলা ফাইন্যান্স, সামিট পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, আইএফআইসি ব্যাংক, ওয়ালটন এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস।

দাম বাড়ার শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আনলিমা ইয়ার্ণ, গোল্ডেন সন, লিব্রা ইনফিউশন, বিকন ফার্মা, জিবিবি পাওয়ার, এক্টিভফাইন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইএফআইসি ব্যাংক, এইচআর টেক্স এবং সোনালী আঁশ লিমিটেড।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬৭ পয়েন্ট কমে ১৬ হাজার ০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টির। বাজারে লেনদেন হয়েছে মোট ৩৮ কোটি ৬ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার।

এমআই/এসএসএইচ