আগামী সপ্তাহেই দেশের পুঁজিবাজারে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে দুবাইভিত্তিক শ্রীলঙ্কান বহুজাতিক কোম্পানি ক্যাল সিকিউরিটিজ লিমিটেড। আর ব্যবসা শুরুর আগে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বাংলাদেশের ব্রোকারেজে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চায় তারা।  

আজ বুধবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে নানা বিষয়ে কথা বলেন ক্যালের কর্মকর্তারা। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ক্যাল সিকিউরিটিজের চেয়্যারম্যান অজিত ফার্নান্দো, পরিচালক দিনেশ পুষ্পরাজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেশ সাহা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জুবায়ের মহসিন কবির, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা পরিকল্পনা তুলে ধরেন কোম্পানির চেয়্যারম্যান। তিনি জানান, বিনিয়োগকারীকে সঠিক বিনিয়োগে সহায়তা করতে গবেষণাভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করতে চান তারা।

পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ ব্যবসা করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রতিষ্ঠানটিকে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারবেন এর মাধ্যমে।

শুধু ব্রোকারেজ ব্যবসা নয়, এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি বেটা ওয়ান মার্চেন্ট ব্যাংক লিমিটেডেকে বিনিয়োগ মার্চেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়ও যুক্ত হয়েছে। যার কার্যক্রম চলমান। মালিকানা পরিবর্তনের পর প্রতিষ্ঠানটি ক্যাল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড নামে পরিচালিত হবে।

অজিত ফার্নান্দো বলেন, ক্যাল বাংলাদেশ গতানুগতিক ব্যবসার বাইরে গিয়ে ব্রোকারেজে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চায়। ব্যবসা শুরুর আগেই বাংলাদেশের ম্যাক্রো অর্থনীতির ওপর একটি গবেষণা করেছে, যাতে দেখা গেছে বাংলাদেশে আগামী বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে পুঁজিবাজারও অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।

কোম্পানির পরিচালক আহমেদ রায়হান শামসি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে অবদান রাখতে চায় ক্যাল বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে প্রতিষ্ঠানটির ২২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ব্যবসা শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে, যা বাংলাদেশের সুনাম বা ব্রান্ড ইমেজ বাড়বে। বৈশ্বিক বিনিয়োগও ত্বরান্বিত করবে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অজিত ফার্নান্দো বলেন,গত দুই বছর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রেগুলেটরি রিফর্ম হয়েছে।

এমআই/এনএফ