আগুনে পুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেডের ৫০টি উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কোম্পানিটির ৮ কোটি টাকার মুনাফা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

বুধবার (২৫ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত ২৩ মে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, এতে কোম্পানিটির লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল প্ল্যান্ট ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডিএসই তথ্য মতে, এই ক্ষয়-ক্ষতি থেকে উৎপাদনে ফিরতে কোম্পানিটির ২-৩ বছর সময় লাগবে। এতে সরকারের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব কমতে পারে। যদিও এটি বিমা পলিসির আওতায় আছে। কোম্পানির বিশেষজ্ঞ টিম, ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এবং বিমা কোম্পানির সার্ভেয়ারদের সমন্বয়ে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে দুপুর ১২টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় স্কয়ারের ওষুধ কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। ১৯টি ইউনিট সাত ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা বলেছিলেন, ওই কারখানায় নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বা ইকুইপমেন্ট পর্যাপ্ত ছিল না। যা ছিল তা প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের শিল্প-কারখানায় প্রতি ৫৫০ বর্গফুটের জন্য একটি করে এক্সটিংগুইসার থাকার কথা। কিন্তু তাদের প্রায় ৭০ হাজার বর্গফুটের ওই কারখানায় এ ধরনের কয়টি যন্ত্রপাতি আছে তা তারাই ভালো জানেন।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের মানবসম্পদ বিভাগে নির্বাহী মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, একই স্পেসে পোশাক কারখানায় যে পরিমাণ ফায়ার এক্সটিংগুইসার বা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন পড়ে, ওষুধ কারখানায় ওই পরিমাণ অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পড়ে না।

ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (অপারেশন) লেফট্যানেন্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ৭০ হাজার বর্গফুটের এ কারখানার বহুতল ভবনটিতে সংস্কার ও ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি।

এমআই/এসকেডি