নিজের দুই প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট ও মোনার্ক এক্সপ্রেস এবং সহযোগীদের  নিয়ে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে থাকা আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ৪৮ শতাংশ শেয়ার কিনছেন (অধিগ্রহণ) ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

সোমবার (৩০ মে)  এ সংক্রান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির একজন কমিশনার। তিনি বলেন, কয়েকজন উদ্যোক্তা আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার কেনার প্রস্তাব করেন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির তথ্য মতে, আল-আমিন কেমিক্যালের চেয়ারম্যান সৈয়দ আশিক ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আতিকা ১৫ দশমিক ৯৭৫ শতাংশ ও তাজাক্কা তানজিম ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার ওই দুই প্রতিষ্ঠান ও পাঁচ ব্যক্তির কাছে বিক্রি করবেন।

সাকিবের দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি উদ্যোক্তারা হলেন—আমিনুল ইসলাম সিকদার, মো খায়রুল বাশার (ইশাল কমিউনিকেশনের প্রতিনিধিত্বকারী) এএফএম রফিকুজ্জামান, মাশুক আলম, হুমায়ুন কবির (লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিত্বকারী) ও মুন্সী শফিউদ্দিন।

বিএসইসির দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের মোট শেয়ারের ৪৮ দশমিক ১৮ শতাংশ কতগুলো শর্তের ভিত্তিতে বিক্রি বা স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শর্তগুলো হচ্ছে—

কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। কোম্পানি নতুন শেয়ারহোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে, যারা কোম্পানিতে ন্যূনতম ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করবেন। পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠন না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানিটির মূলধন আর বাড়ানো যাবে না।

প্রস্তাবিত শেয়ারের ক্রেতারা কোম্পানির উৎপাদন শুরু করবে। আর অধিগ্রহণ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রমসহ মুলতুবি বিষয়গুলোকে নিয়মিত করবে। প্রস্তাবিত ক্রেতা-শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোম্পানিতে নতুন তহবিল বিনিয়োগ করবে। আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং তাদের বিপরীতে মূলধন প্রদান কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে। আর কোম্পানির সব শেয়ার স্থানান্তর কার্যকর করার পর অবিলম্বে সব শেয়ারকে ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তরিত করতে হবে।

এমআই/আরএইচ