পুরনো ছবি

ঈদুল আজহা পরবর্তী সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে তিন কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। শেয়ার বিক্রির চাপে তিনদিনই দরপতন হয়েছে। আর এই দরপতনে সূচক, লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বাজার থেকে উধাও হয়েছে বিনিয়োগকারীদের ২৮১২ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৫ টাকা।

এদিকে দরপতন অব্যাহত থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। আরও দরপতন হতে পারে এই ভয়ে সবাই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন- এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ঈদের ছুটির পর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার মোট তিন দিনে (১২-১৪ জুলাই) ৩৯৫টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ২৩৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৭ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন (অর্থাৎ পুঁজি) ২ হাজার ৮১২ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৭২৫ টাকা উধাও হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৭২ কোটি ৪৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৭ টাকা। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ টাকায়।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ১৪৪ টাকা। এর আগে অর্থাৎ ঈদের আগের সপ্তাহে মোট পাঁচ দিনে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার ৯৭০ টাকা। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ হাজার ৮৫১ কোটি ৪১ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে দাঁড়ায় ৪৫ শতাংশ।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৫৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৩ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ২১০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।

এমআই/এমএইচএস