চলতি বছরের জুলাই মাসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোট ১৯ কর্মদিবসে ১২ হাজার ২৮৪ কোটি ১২ লাখ ৩৩ হাজার ২১২ টাকার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন থেকে কর বাবদ সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মোট ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৫১ হাজার ২২৯ টাকা জমা দিয়েছে ডিএসই।

অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২১ সালের জুলাই মাসে মোট ২৩ হাজার ৩০৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৪ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেখান থেকে কর বাবদ সরকার রাজস্ব পেয়েছিল ২৮ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ৮১৮ টাকা। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে সরকার ডিএসই থেকে ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯ টাকা বঞ্চিত হয়েছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহার ছুটির কারণে দুই দিন পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় নতুন অর্থবছরের জুলাইয়ে মোট ১৯ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়াও জুলাই মাস জুড়ে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত থাকায় লেনদেন কমেছে। আর লেনদেন কমায় বিনিয়োগকারীরা সরকার থেকে রাজস্বও কম পেয়েছে।

তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ ও পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা (এক্সপোজার লিমিট) গণনার পদ্ধতি ‘ক্রয়মূল্যে’ করার উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পুঁজিবাজার। ফলে চলতি সপ্তাহের চার কর্মদিবসই পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন। ফলে আগস্ট মাস থেকে সরকার রাজস্ব আরও বেশি পাবে।
 
জুলাইয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারী অর্থাৎ ব্রোকার হাউজের লেনদেন থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৮০হাজার৭৯৮ টাকা। আর উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে রাজস্ব আদায় করেছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৩১ টাকা।

২০২১ সালের ২৮ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ৮১৮ টাকা রাজস্ব এসেছিল। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারী অর্থাৎ ব্রোকার হাউজের লেনদেন থেকে সরকার রাজস্ব পায় ২৩ কোটি ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৬৪১ টাকা। আর উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে রাজস্ব আদায় করে ৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭টাকা।

এমআই