পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত বছরের ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ৬ থেকে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রাস্টি বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২ কোটি টাকা।

রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পুঁজিবাজারে মন্দা ও অস্থিতিশীল ডলারের বাজারেও ভালো মুনাফা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ে রেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত এই দশটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইবিএল এনআরবি ফান্ড ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ইউনিট হোল্ডাররা ১ টাকা ১০ পয়সা করে মোট ২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পাবেন।

একই সময়ে ফার্স্ট জনতা ব্যাংক ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন। অর্থাৎ ইউনিট প্রতি ৭০ পয়সা করে মোট ২০ কোটি ২৯ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন।

একইভাবে পপুলার লাইফ ফার্স্ট ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড, পিএসইচপি ফার্স্ট ফান্ড, এবি ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ড, আইএফআইসি, এবং এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা ৭ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ পাবেন।

অর্থাৎ শেয়ার প্রতি যথাক্রমে ৭০ পয়সা করে ২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ২১ কোটি ২৫ লাখ, ১৯ কোটি ৭৩ লাখ, ১৬ কোটি ৭৪ লাখ, ১২ কোটি ৭৫ লাখ এবং ১০ কোটি ৩ লাখ টাকা করে লভ্যাংশ পাবেন ইউনিট হোল্ডাররা।

এছাড়াও এবিএল ফার্স্ট ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন।

এবিএল ফার্স্ট ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা পাবেন ৯ কোটি ৪১ লাখ এবং ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ফান্ডের ইউনিট হোল্ডাররা পাবেন ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

সব মিলিয়ে তালিকাভুক্ত ১০ ফান্ডের ইউনিট হোল্ডারদের জন্য ২০২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

এমআই/জেডএস