একসঙ্গে তিন বছরের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। আর এই খবরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, গত তিনদিনে (২৯, ৩০, ৩১ আগস্ট) শেয়ারটির দাম বেড়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা। ২৯ আগস্ট লেনদেনের শুরুতে শেয়ারটির দাম ছিল ৪১ টাকা ৭০ পয়সা। দাম বেড়ে ৩১ আগস্ট সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঁচ বছর বন্ধ থাকার থাকার পর এক বছর হয়েছে উৎপাদনে ফিরেছে কোম্পানিটি। তারপর মঙ্গলবার ৩০ আগস্ট কোম্পানিটি ঘোষণা করেছে যে, প্রতিষ্ঠানটির ২৪, ২৫ এবং ২৬তম জমানো এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এটি অনুষ্ঠিত  হবে। আর এই খবরে শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

তথ্য মতে, ২০০২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ ছিল ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। এরপর গত বছরের জুন থেকে উৎপাদন শুরু করেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালের লিজ নেওয়া ১০১ দশমিক ১৯ একর জমিতে তেলাপিয়া, পাঙাশ, কই, সরপুঁটিসহ অন্যান্য মাছ উৎপাদন করছে কোম্পানিটি।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করা বিচ হ্যাচারি। কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয় ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল। সরকার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের জন্য কোম্পানিটির জমি অধিগ্রহণ করে। তারপর থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২০১৯ সালে নরওয়ের রিসার্কুলেটিং অ্যাকুয়াকালচার সিস্টেম (আরএএস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে ত্রিশালে মাছ চাষের ব্যবসায় নামে বিচ হ্যাচারি। উৎপাদন শুরু পর শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বিচ হ্যাচারির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১০ পয়সা। ২০২০-২১ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরছে বিচ হ্যাচারি।

কোম্পানিটির চার কোটি ১৪ লাখ ১০২১টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫০ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার।

এমআই/এমএইচএস