শেয়ার ছেড়ে মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড (এনটিসি)। ১৯৭৯ সালে তালিকাভুক্ত ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনী প্রতিষ্ঠানটি বাজারে শেয়ার ছেড়ে আরও ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করবে। তাতে কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকা।

একই সময়ে কোম্পানটির অনুমোদিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা উন্নীত করবে। যা বর্তমান রয়েছে ২৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আরও ১৫ কোটি টাকা বাড়ানো হবে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, কোম্পানির ৬৪৪তম সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২৫ কোটি টাকার অনুমোদিত ৪০ কোটি টাকায় উন্নিত করা হবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হবে ১০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির মোট শেয়ার হবে ৪ কোটি আর প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হবে ১০ টাকা।  

সভায় অনুমোদিত মূলধনের পাশাপাশি পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অনুমোদিত মূলধন বাড়ানো এবং নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির লক্ষ্যে আগামী ২০ অক্টোবর কোম্পানিটির অতিরিক্ত সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইস্যু অব ক্যাপিটাল রুলস ২০০১ পরিপালন সাপেক্ষ প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে নতুন শেয়ার ইস্যু করে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বরাদ্দ করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে ন্যাশনাল টি। নতুন শেয়ার ইস্যুর পর বাংলাদেশ সরকার, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং সাধারণ বীমার শেয়ারের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট শেয়ারের ৫১ শতাংশ। আর বিদ্যমান পরিচালক ও অন্যান্য শেয়ারহোল্ডারের মধ্যে ৪৯ শতাংশ শেয়ার আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে।

আনুপাতিক হারে বণ্টনের কারণে যদি কোনো শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের প্রস্তাবিত ইস্যু পরবর্তী শেয়ার ধারণের হার ২ শতাংশের নিচে নেমে যায়, তাহলে বিএইসি কর্তৃক শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের নির্দেশনা পরিপালনের লক্ষ্যে ওই পরিচালকর ন্যূনতম শেয়ার ধারণের হার ২ শতাংশ হওয়ার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু শেয়ার অতিরিক্ত আকারে তাকে বণ্টন করা হবে।

নতুন শেয়ার গত ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নিট সম্পদ মূল্য, শেয়ারের অভিহিত মূল্য, বিগত ৫ বছরের আয়ের গড় ও শেয়ারের গত ১২ মাসের গড় বাজার মূল্যের ওপর ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে ইস্যু করা হবে।

যদি কোনো শেয়ারহোল্ডার প্রস্তাবিত ইস্যুকৃত শেয়ার গ্রহণ করতে অসম্মত হয় তাহলে ওই শেয়ার বিদ্যমান পরিচালকবৃন্দ আনুপাতিক হারে নির্ধারিত মূল্যে গ্রহণ করতে বা আনসাবস্ক্রাইব করতে পারবেন। এরপরও যদি অসম্মত থাকে, তাহলে বিদ্যমান আগ্রহী অন্যান্য শেয়ারহোল্ডার আনুপাতিক হারে তা সাবস্ক্রাইব করতে পারবেন।

সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের প্রস্তাব অনুমোদনের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে কোম্পানিটি। বিএসইসি সম্মতি দিলে মূলধন বাড়াতে পারবে কোম্পানিটি। শেয়ার ছেড়ে যে টাকা উত্তোলন করা হবে তা দিয়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, চলতি মূলধন সংকুলান এবং চা বাগান ও কারখানার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।

এমআই/এমএ