সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১মার্চ) দেশের পুঁজিবাজারে দুর্বল মৌলভিত্তি এবং লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকা বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলে শেয়ারের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ দশ শতাংশ। একই ক্যাটাগরির ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ দুটি কোম্পানিই নয়, দুর্বল ও লোকসানি তুং হাই নিটিং ও ডায়িং লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। জুট স্পিনিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। জেড ক্যাটাগরিতে থাকা ইমাম বাটনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এসব শেয়ারের দাম বাড়ায় একদিন দরপতনের পর দেশের পুঁজিবাজারে আবারও সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। তবে লেনদেন কমেছে কিছুটা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোববার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তিনটি দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানির আগের পরিচালকদের বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের মধ্য দিয়ে পর্ষদ পুনর্গঠন করে। এই খবরে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির বদলে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানির প্রতি আগ্রহী হয়েছেন বিনেয়াগকারীরা। আর তাতে দুর্বল কোম্পানির প্রায় সব শেয়ারের দাম বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনা দেখা গেছে, সোমবার সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়ে ২২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বাড়ে ৮৩ পয়েন্ট। এর আগে টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হয়েছিল।

এদিন প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম বাড়াকে কেন্দ্র করে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২২ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক ৬ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২৯ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯টির, কমেছে ১০৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির শেয়ারের দাম। এদিন লেনদেন হয়েছে ৬১৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৪২ কোটি টাকা।

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৮৭ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ২২৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ৫৭টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৭২টির শেয়ারের দাম। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

এমআই/জেডএস