দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মো. জিয়াউল করিমকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

সোমবার বিএসইসির ৮৪৩তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম। 

তিনি জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীদের নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনে সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আজকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ডিএসইর আইটি বিভাগকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসি সূত্র জানায়, নিজেদের আইটি বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে ডিএসইর আগের কমিটিগুলো অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি ডিএসইর আইটি বিভাগের কারণে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিটিওকে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভায় ডিএসইর পরিচালকদের অবিলম্বে সমস্যাগুলোর সমাধানে দক্ষ মানবসম্পদ দিয়ে আইটি বিভাগ ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর আইটি বিভাগের ব্যর্থতায় ডিএসইতে সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ ছিল। তার ঠিক তিন কার্যদিবস পর ৩০ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ে লেনদেন শুরু হয়নি। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার পরিবর্তে বেলা ১১টায় লেনদেন শুরু হয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ অক্টোবর বলা হয়, ‘মার্কেট অপারেশন ভুলবশত ৭০টি সিকিউরিটিজের পরিবর্তে সব সিকিউরিটিজের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে। তাই মার্কেট বন্ধ রাখা হয়। পরে ভুল সংশোধন করে মার্কেট বেলা ১১টায় চালু করা হয়।

তার আগে ২৪ অক্টোবর কারিগরি ত্রুটির কারণে ডিএসইতে লেনদেন বিঘ্নের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে বিএসইসি। সংস্থাটির পরিচালক আবুল হাসানকে টিম লিডার ও সহকারী পরিচালক দস্তগীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে পাঁচজনের একটি দলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে আজ কমিশন সভায় সিটিওকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত এলো।

এমআই/আরএইচ