দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। যা শতাংশের হিসেবে ৭৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অপরিবর্তিত ছিল ৫৬ শতাংশ শেয়ারের দাম।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১৭টির, কমেছে ৫৫টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে সিএসইতে দাম বেড়েছে ১০টি কোম্পানির, তার বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪টি কোম্পানির শেয়ারের।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি। এ কারণে অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচাও করতে পারছেন না।

ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বাজারে ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৯টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ ২৯৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১১ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। 

ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্ট পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিচ হ্যাচারির শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মুন্নু সিরামিকসের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের শেয়ার। এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে মুন্নু অ্যাগ্রো অ্যান্ড জেনারেল, ওরিয়ন ফার্মা, বসুন্ধরা পেপার মিলস, জেনেক্স ইনফোসেস, ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং লাফার্জহোলসিম লিমিটেডের শেয়ার।

অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৪২০ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৭৭৮ টাকা।

এ বাজারে লেনদেন হওয়া ১০০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির ও কমেছে ৩৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এমআই/জেডএস