পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের নবগঠিত পর্ষদকে সহযোগিতা করতে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (০৮ মার্চ) বিএসইসির পক্ষ থেকে বেবিচকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ‌দিন ধরে কোম্পানিটির উৎপাদন অর্থাৎ উড়োজাহাজের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বড় লোকসানের মুখে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। এই বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়।

স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী ওয়াহিদ উল আলমকে চেয়ারম্যান করে ইউনাই‌টেড এয়া‌রের পর্ষদে আরও ৬ জনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরিচালকরা হলেন- এম সাদিকুল ইসলাম, মাসকুদুর রহমান সরকার, এটিএম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া, মুহাম্মদ ইউনুস ও মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ।

মূলত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের নতুন পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য বেবিচককে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। যাতে কোম্পানিটি সর্ম্পকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেবিচক। একইসঙ্গে পুরনো পরিচালনা পর্ষদের কোনো কথায় বেবিচক যেন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়, সে বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। একইসঙ্গে গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটে থাকা (ওটিসি) কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে ১ কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তার পরের বছর ২০১১ সালে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে ২১ কোটি শেয়ার ছেড়ে ৩১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ইউনাইটেড এয়ার।

৮২৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮২ কোটি ৮০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮০টি। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৭৬ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার। প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৬ দশমিক ৩৮ এবং উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ শেয়ার।

এমআই/জেডএস