বন্ড ইস্যুর পর এবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ উদ্যোক্তা-পরিচালকদের নামে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির তথ্য মতে, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তারা এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা নিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি সিঅ্যান্ড এ টেক্সটাইলের ঋণ পরিশোধ করবে। ২০১৭ সাল থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশের শর্তে বিএসইসির একজন কমিশনার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল কোম্পানির ঋণ কমিয়ে উৎপাদনের ফেরাতে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোক্তাকে শেয়ার ছেড়ে টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির সূত্র জানায়, কোম্পানটির বর্তমান শেয়ার মূল্য ৪৩ টাকা ৪০ পয়সা। এই শেয়ার থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়ে উদ্যোক্তারা ২২ টাকা দরে নতুন শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। গত ছয় মাসের ওয়েটেড এভারেজের ভিত্তিতে শেয়ারের এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগের একই ইস্যুতে বিএসইসি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজকে রূপান্তরযোগ্য বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে ৩০০ কোটি টাকার উত্তোলনের অনুমতি দেয়। কিন্তু এখনও বন্ডের সাবস্ক্রিপশনের আলোর মুখ দেখেনি বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় কোম্পানিটিকে আরও একটি বিশেষ সুবিধা দিলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

উৎপাদন বন্ধ থাকা বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলে অধিগ্রহণের অনুমোদন পায় আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ। এখন আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের পরিশোধিত মূলধন ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের আগের নাম সজিব নিটওয়্যার অ্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। কোম্পানি ভালো পারফমেন্স করতে না পারায় ওভার দ্যা কাউন্টার মার্কেটে ছিল ২০১৭ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০১৭ সালে আবারও মূল মার্কেটে আসে।

সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এই মুনাফা থেকে কেবল সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা করে মুনাফা দেবে।

এ বিষয়ে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিমুল ইসলাম বলেন, কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। আমরা সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ঋণ পুনরায় পরিশোধ করব। এই টাকা পেয়ে কোম্পানির ঋণ পরিশোধ করবো।

এমআই/এসএম