কৃষিবিদ সীডের কিউআইও আবেদন বাতিল
জমি জটিলতায় কৃষিবিদ সীড লিমিটেডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরস অফার (কিউআইও) আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্মল ক্যাপ মার্কেটের (এসএমই) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১৮ কোটি টাকা উত্তোলন করতে আবেদন করেছিল।
গত বছর আবেদন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রসপেক্টাস যাচাই-বাছাই করে চলতি মাসেই আবেদনটি বাতিল করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
নাম না প্রকাশের শর্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, কোম্পানির মোট সম্পদ দেখানো হয়েছে ২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২ কোটি টাকা দিয়ে জমি কিনেছে। কেনা জমির আবার কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। এই জমি পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কেনা হয়েছে।
এছাড়াও একটি ভবন দেখানো হয়েছে। কিন্তু জমি দেখানো হয়েছে অন্যের। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থউত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
কোম্পানির তথ্য মতে, সর্বশেষ বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭১ পয়সা। কোম্পানির ব্যবসার গ্রোথ দেখানো হয়েছে ১০ শতাংশ। টোটাল বাজারের চাহিদা দেখানো হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার।
বিএসইর তথ্য অনুসারে, এসএমই বোর্ডে এখন পর্যন্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের কিউআইও মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য আবেদন করেছে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনই বাতিল করা হয়েছে।
প্রসপ্রেক্টাসে বলা হয়, পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের ৭ কোটি টাকা দিয়ে কোলস্টোরেজর ভবন এবং জমি কিনবে। ৫ কোটি দিয়ে অত্যাধুনিক গবেষণা সেন্টার ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবে ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।
২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। তাতে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়ায় ৪ টাকা ৭১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯৯ পয়সা।
২০১৬ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর ব্যবসা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটি সবজি, ভুট্টা, ধান, গম,তেল,স্পন্দন, ঘাস এবং আলুর বীজ উৎপাদন ও আমদানি করে। মাত্র তিন বছরে এখই দেশের বীজ উৎপাদনের ২০-২৫ শতাংশ অবদান রাখে কোম্পানিটি।
দেশে এখনও ১৮ হাজারের বেশি বীজের ডিলার রয়েছে। তারা ১০০টি কোম্পানি থেকে বীজ নিয়ে বিক্রি করে। ২০১৯ সালে জুন পর্যন্ত সময়ে দেশে বীজের বাজার ছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার।
এমআই/ওএফ