পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আপেল মাহমুদকে অনুমোদন দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

গাড়ি এবং মোবাইল বিলসহ অন্যান্য সুযোগ ছাড়াই তার বেতন ৬ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ। আইডিআরএ সর্বশেষ সভায় এই  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর আইডিআরএর পরিচালক (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আব্দুল মজিদের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার (২০মার্চ) কোম্পানির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিমা আইন ২০১০ ও বিমা কোম্পানি প্রবিধানমালা-২০১২ এর বিধানাবলি পরিলক্ষিত হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে আপেল মাহমুদকে ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে গত ৪ জানুয়ারি ২০২৩ হতে ৩ জানুয়ারি ২০২৬ সাল পর্যন্ত তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

শর্তগুলো- ১.আপেল মাহমুদ চুক্তিপত্রের বিভাজন অনুযায়ী মাসিক সর্বমোট ৬ লাখ টাকা বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন। বেতন-ভাতা সংক্রান্ত সবধরনের লেনদেন অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে।

২. তিনি বিমা আইন ২০১০, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০, বিমা বিধি-বিধান ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন পরিপালনপূর্বক কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।

৩. চুক্তি অনুযায়ী মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত থাকাকালীন অন্য কোনো কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় কোনোভাবেই কর্মরত থাকতে পারবেন না।

৪. আবেদন পত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত দলিলাদি ভবিষ্যতে অসত্য বা সঠিক নয় প্রমাণিত হলে তার দায়ভার কোম্পানি ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহন করতে হবে এবং সেক্ষেত্রে এই নিয়োগ নবায়ন অনুমোদন বাতিল বলে গণ্য হবে।  

৫. সিইওর বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির উপর প্রদেয় আয়কর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহত করতে হবে।

৬. চুক্তিপত্রে যা কিছুই থাকুক না কেন চুক্তিকালীন সময়ে তার বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করা যাবে না।

৭. কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য একাধিক গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না।

৮. তিনি গাড়ির জ্বালানি বাবদ সর্বোচ্চ ২০০ লিটারের বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে পারবেন না।

এবং তিনি মোবাইল ফোনের বিল বাবদ সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা খরচ করতে পারবে না ইত্যাদি।

এ বিষয়ে আইডিআরএর চেয়ারম্যান জয়নুল বারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফারইস্ট ইসলামি লাইফের বর্তমান পর্ষদ স্বতন্ত্র পরিচালক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিইও হিসেবে অনুমোদন করা হয়েছে।

 এ বিষয়ে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, বর্তমানে কোম্পানিতে নানা সমস্যায় রয়েছে। এ কারণে একজন দক্ষ এমডি নিয়োগ দিয়েছি। হয়ত আরও কম বেতনে সিইও পাওয়া যেতো কিন্তু ভালো এমডি নিতে হলে বেশি টাকা দিয়েই নিতে হবে।

এমআই/এসকেডি