দিনভর সূচক ওঠানামার মধ‍্য দিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপে আজ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

সূচকের কমলেও বেড়েছে লেনদেন। ফলে সোমবার ও মঙ্গলবার টানা দুদিন পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। তবে তার আগে টানা তিন কর্মদিবস উত্থান হয়েছিল।

ডিএসইর তথ্য মতে, আজ ডিএসইতে মোট ৯ কোটি ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের কেনা-বেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৬৪৬ কোটি ৪৫ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৫ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

এদিন প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই ৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৮টি কোম্পানির, কমেছে ৬৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেমিনী সি ফুডের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কসের শেয়ার। আর তৃতীয় স্থানে ছিল ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। তারপর যথাক্রমে ছিল, আলহাজ টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসেস, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, শাইনপুকুর সিরামিক, ইউনিক হোটেল, রুপালি লাইফ ও এডিএন টেলিকমের শেয়ার। 

অপর বাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে ১২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৪৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির।

দিন শেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের কর্ম দিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৬ টাকার।

এমআই/এসকেডি