সিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিএসইসি কোম্পানির ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো বা সিআইবি প্রতিবেদন পরিচ্ছন্ন না পাওয়ায় আইপিওর আবেদন বাতিল করেছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং সিইও বরাবর পাঠানো হয়েছে।

সিআইবি প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশেষ বিভাগ। এই বিভাগ ব্যাংক এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহীতাদের তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, কোম্পানির সিআইবি ক্লিয়ারেন্স না থাকায় আইপিও আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করতে আবেদন করেছিল। কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

আইপিওর টাকা দিয়ে কোম্পানির নামে ফ্ল্যাট কেনা, এফডিআরে বিনিয়োগ, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ এবং আইপিও ব্যয় খরচ করার জন্য আবেদন করা হয়।

প্রসপেক্টাস অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় বা মুনাফা (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ১৯ পয়সা। সে বছর কোম্পানির প্রিমিয়াম বাবদ নিট আয় হয়েছিল ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৭৪ হাজার ৯৫৩ টাকা। তার মধ্যে বিমা দাবি পরিশোধ করেছে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬৫ টাকা। তাতে কোম্পানির প্রকৃত সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৭৪ পয়সা।

২০১৩ সালে ব্যবসা শুরু করা কোম্পানিটির ২০২০ সালে ইপিএস ছিল ২ টাকা ০৯ পয়সা। সে বছর প্রিমিয়াম থেকে প্রকৃত আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৪ টাকা। কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ৫ কোটি ৭৫ হাজার টাকা। এনএভিপিএস ছিল ১৬ টাকা ৫৮ পয়সা।

এমআই/এসএম