লেনদেন বাড়লেও কমেছে সূচক
সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১১ মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে। এদিন বাজারে সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট।
ডিএসইতে সূচক কমলেও বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে মঙ্গল ও বুধবার দুদিন উত্থানের পর আজ দরপতন হলো।
বিজ্ঞাপন
ডিএসইর তথ্য মতে, আজ মোট ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭২১ কোটি ৭৮ লাখ ১১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।
এদিন আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসই ৩০ সূচক।
বিজ্ঞাপন
ডিএসইতে মোট ৩৫৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৪টি কোম্পানির। কমেছে ৭৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার।
তারপর শীর্ষ ১০ এ ছিল যথাক্রমে-ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং,রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, ওরিয়ন ইনফিউশন, জেমিনি সি ফুড, লাফার্জহোলসিম, ইউনিক হোটেল, জেনেক্স ইনফোসেস এবং এপেক্স ফুডস লিমিটেডের শেয়ার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১২ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে ১৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ৫৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৪টির দাম।
দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৩ হাজার ১২১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এমআই/জেডএস