শেয়ারহোল্ডারদের ৯০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৫ টাকা লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস পিএলসি। জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। এছাড়া সভায় নতুন করে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর ২০২৩ সালে কোম্পানির সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে। বিদায়ী বছরের কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৮৯৭ কোটি ৮৯ লাখ ১৬ হাজার ১২৪ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে।

সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ১০৫ শতাংশ অর্থাৎ ৯০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৫ টাকা লভ্যাংশ দেবে। এছাড়া ৪০০ কোটি টাকা কোম্পানির ভারসাম্য, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন এবং সম্প্রসারণ (বিএমআরই), মূলধন যন্ত্রপাতি এবং ভবিষ্যতের সম্প্রসারণের জন্য জমিতে বিনিয়োগ করবে।

মুনাফার বাকি টাকা কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডে জমা থাকবে। বর্তমানে কোম্পানির রিজার্ভ ফান্ডের আকার হচ্ছে ৯ হাজার ২৫৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

এর আগের বছর ২০২২ সালে কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছিল ১ হাজার ৮১৫ কোটি ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৪ টাকা। সেবছর শেয়ারহোল্ডারদের ১০ টাকা (১০০ শতাংশ) করে মোট ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ১০০ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল।

৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা অনুমোদিত কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৮৮কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি। সোমবার দিনের শুরুতে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৯ টাকা ৯০ পয়সাতে।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয় ১৪ ডিসেম্বর। ওদিন সকাল ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোম্পানির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ নভেম্বর।

কোম্পানির তথ্য মতে, ২০২৩ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা। যা ২০২২ সালে ছিল ২০ টাকা ৪৮ পয়সা। মুনাফার বাড়ায় বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১১৮ টাকা ৬৮ পয়সা।

এমআই/এমএ