শেয়ার বিক্রির চাপের ম‍ধ‍্যদিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার (১ নভেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। তবে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।

ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। তবে সিএসইতে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতার মধ‍্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, এদিন ডিএসইতে ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের ৫ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৬১৪টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের হাত বদল হয়েছে। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭২ কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২২ কোটি ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন ডিএসইতে ৫০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্লের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মনম্পুল পেপারে শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার।
এরপর যথাক্রমে ছিল, ফুয়াং ফুড, এমারেল্ড অয়েল, বিচ হ‍্যাচারি, জেমিনি সি ফুড, সমরিতা হাসপাতাল, সোনালী আঁশ এবং লিবরা ইনফিউশনের শেয়ার।  

অন্যদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক ৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ৩৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টির।

দিন শেষে সিএসইতে ৫ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে  ৪ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৭ টাকার শেয়ার।

এমআই/এসএম