শেয়ারহোল্ডারদের ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বিডি) লিমিটেড।

১৯৮৭ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সাড়ে ১২শ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ারহোল্ডাদের। এবার তার চেয়ে দেড়শ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ১৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি, যা তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ।

অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে ১৪০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। তাতে কোম্পানির ৪৭ লাখ ২৫ হাজার শেয়ারধারী বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে ৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অথচ এমন খবরেও শেয়ারটির দাম কমেছে।

ডিএসইর তথ্য মতে, লভ্যাংশ ঘোষণার আগে অর্থাৎ গত ২৯ এপ্রিল এই কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৬১৩ টাকা দরে। সেখান থেকে ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা কমে রোববার (২ মে) সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৫৩০ টাকা দরে। যা শতাংশ হিসেবে কমেছে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ।

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এমজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ জুন। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ মে।

আলোচিত সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। এর আগের বছর ছিল ১৩১ টাকা ৬ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭০ টাকা ৯৫ পয়সায়। এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৪২ টাকা ৬৪ পয়সা।

বর্তমানে কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার, সরকারের হাতে রয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার।

এমআই/এসএসএইচ