বিবিএস কেবলস লিমিটেডকে সকল দায় থেকে মুক্ত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিএসইসিতে জরিমানা মওকুফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সিকিউরিটিজ আইন সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে তালিকাভুক্তির পরপরই কিছু সমস্যা হয়েছে। ফলে কোম্পানির পরিচালকসহ কয়েকজনকে জরিমানা করে বিএসইসি। এরপর কোম্পানি জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন করে। শুনানি শেষে বিষয়টি সমাধান করে বিএসইসি। এখন সব অভিযোগ থেকে মুক্ত বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড।

বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবু নোমান হাওলাদার বলেন, নতুন হওয়ার কারণে সিকিউরিটিজ আইন নিয়ে আমাদের ধারণা পরিষ্কার ছিল না। জ্ঞানের পরিধিও কম ছিল, ফলে শুরুতেই কমিশনের আইনগত বিষয়গুলো প্রতিপালনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। মূলত আমাদের জরিমানা করা হয় মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ না করার জন্য। কিন্তু সেটি আসলে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছিল না।

তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা বিএসইসিকে অবহিত করেছি এবং ব্যাখ্যা দিয়েছি। এ পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। এখন আর কোন অমীমাংসিত বিষয় নেই। বিবিএস ক্যাবলস তালিকাভুক্তির পর থেকেই প্রতি বছর ভালো প্রতিবেদনের জন্য করপোরেট গভার্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আসছে।

বিবিএস ক্যাবলস আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০২০ অর্থবছরে ১৯ কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার শেয়ারধারীকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছিল ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। এই অর্থবছরে সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।

২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে বিবিএস ক্যাবলস। তালিকাভুক্তির বছরই কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস। ২০১৯ সালে বোনাস ছিল ১০ ১০ শতাংশ, আর নগদ ছিল ১০ শতাংশ।  

এমআই/আরএইচ