প্রতীকী ছবি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাত্র ৭ কার্যদিবসেই মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে তিনগুণ। শেয়ারের দাম বাড়ায় কোম্পানির বাজার মূলধন অর্থাৎ পেইড-আপ ক্যাপিটালও বেড়েছে তিনগুণের বেশি।

জানা গেছে, কোম্পানির সবশেষ বছরের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৪ পয়সা। সেই হিসেবে শেয়ারটির প্রাইস ১৫-২০ টাকাই যৌক্তিক। কিন্তু মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ার সবশেষ ৩৯ দশমিক ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

এ বিষয়ে বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে জেনে বুঝে শেয়ারে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রামীণফোন আর রবির শেয়ার এক কথা নয়। অনেকে ভুল বুঝে গ্রামীণফোনের শেয়ারের সঙ্গে তুলনা করে শেয়ার কিনছেন। এটা ঠিক না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ২৪ ডিসেম্বর দেশের পুঁজিবাজারে রবির লেনদেন শুরু হয়। এদিন কোম্পানির পেইড-আপ ক্যাপিটাল ছিল ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সেখান থেকে ৭ কার্যদিবসে বেড়ে মঙ্গলবার দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে বেড়েছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি। যা শতাংশের হিসেবে ৩শ শতাংশের বেশি।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসা বরির শেয়ার পেয়েছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার বিনিয়োগকারী। শেয়ার পেতে ১২ লাখের বেশি বিনিয়োগকারী আবেদন করেন।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর রবিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এরপর ১৭ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর বিনিয়োগকারীরা রবির শেয়ার পেতে আবেদন করেন এবং গত ১০ ডিসেম্বর লটারি অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে শেয়ার যোগ হয়।

এমআই/জেডএস